সোনালী আঁশের পথে মাশরাকার যাত্রা

Source:

মাশরাকা বিনতে মোশাররাফ, ইকো মোনারকি নামক কোম্পানির সিইও, ২০০৫ সাল থেকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করে আসছেন। তার এই যাত্রা শুরু থেকেই সফল ছিল না, পদে পদে আসা বাঁধা দৃঢ় সংকল্পের সাথে অতিক্রম করেই তিনি আসতে পেরেছেন এতদুর। 

“আমি যখন জার্মানি থেকে ভাল বেতনের চাকরি ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসি পাঁটের ব্যবসা করার জন্য, আমার পরিবার খুব বড় একটা ধাক্কা খায়। তার উপর আমি এসেছি পাঁট নিয়ে কাজ করতে, যেটা এখানে প্রায় কেউই ভাল চোখে দেখে না”, মাশরাকা বলেন।  

কিন্তু কোনকিছুই তাকে দমাতে পারেনি। তিনি বাংলাদেশের সোনালী আঁশকে বিশ্বের সামনে তুলে আনতে চেয়েছেন নতুন করে, যেন “মেড ইন বাংলাদেশ” কথাটা তার পুরনো গৌরব ফিরে পায়। “বাংলাদেশ বিশ্ববাজারে সবচেয়ে ভালমানের পাঁট উৎপাদন করে”, এবং মাশরাকা মনে করেন তা থেকে অসাধারণ সব সৃজনশীল পণ্য তৈরি করা সম্ভব। ইকো মোনারকির বিভিন্ন কাস্টমাইজড পণ্যের মধ্যে মূলত আছে বিভিন্ন ঘর সাজানোর পণ্য, যেমন কুশন এবং পর্দা, ব্যাগ, বিভিন্ন ব্যবসায়িক উপহার ইত্যাদি। শুধু দেশেই না, মাশরাকা বিশ্বের আরও অন্যান্য দেশে, বিশেষ করে ইউরোপে বাংলাদেশের পণ্য পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন।  

শুরুতে ব্যবসায়িক দক্ষতা ও জ্ঞানের ঘাটতি মাশরাকার ব্যবসায়িক সফলতার পথে একটি বড় বিপত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু কর্পোরেট কানেক্টের দক্ষতা বৃদ্ধি ট্রেইনিং এর মাধ্যমে তিনি তার একাউন্টিং ও ফাইনান্স, এইচ আর ম্যানেজমেন্ট এবং ব্যবসার পিচের ক্ষেত্রে তার দক্ষতা তৈরি করে নেন। তিনি বিশ্বাস করেন কর্পোরেট কানেক্ট থেকে পাওয়া ট্রেইনিং তার সাফল্যের পিছে বড় ভূমিকা রেখেছে। কর্পোরেট কানেক্ট তার ব্যবসা বদলে দিয়েছে কেননা এর কারণে তিনি দেশে এবং বিদেশে তার ব্যবসাকে ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন এবং নতুন নতুন নেটওয়ার্কিংএর সুযোগ পেয়েছেন। আজ মাশরাকার রয়েছে ৩৫ এর বেশি কর্মী। তাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি ইকো মনারকিকে একটি বিশ্বস্ততার প্রতীক হিসেবে সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।